রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটুকে নিয়ে মিথ্যাচার

প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৪

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের জুনিয়র সেকশন অফিসার ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু। তাকে নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আর.এমপি) বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ কনস্টেবলের সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে উচ্চ স্বরে কথা বলার একটি ভিডিও প্রচার হয়েছে যা ঘটনার দিনের সম্পূর্ন ভিডিও নয়। ভিডিওটি এডিটিং এর মাধ্যমে শুধু তার ক্ষিপ্ত হওয়ার ভিডিওগুলো আগে পিছে করে লাগিয়ে প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু বলেন, গত ৬মার্চ বিলছিমলা বন্ধ গেট এলাকার আমাদের দলীয় কর্মী হানিফ আমাকে এসে বলে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল সাদিকুল ইসলাম আমাকে নিয়ে অনেক বাজে বাজে মন্তব্য করেছে। এ বিষয়ে জানতে কর্মী হানিফকে সাথে নিয়েই একইদিন সন্ধা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে আমরা দুজনে উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে যায়। সেখানে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করে তার পুলিশ কনস্টেবল সাদিকুল ইসলামকে ভদ্রলোক বলে সন্মানের সাথে ডাকতে বলি। কনস্টেবল সাদিকুল ইসলাম পুলিশ ফাঁড়িতে আসলে তাকে ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফ মাহমুদ আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছেনকি? এমন প্রশ্নের কোন সদউত্তর দিতে না পাড়ায় এবং আমাকে নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করায় আমি তাকে উচ্চস্বরে কথা বলে ফেলি। আর আমি সেদিন কোন মটরসাইকেল আটকানোর কোন তদবিরই করলাম না আর সাংবাদিক সাহেব ভিডিও নিউজে প্রচার করে ফেললেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের মটরসাইকেল আটকানোয় বিপদে পুলিশ কর্মকর্তা। এ ছাড়াও ঘটনাটি বোয়ালিয়া মডেল থানার একটি পুলিশ ফাঁড়ির সেখানেও সাংবাদিক সাহেব প্রচার করলেন পুলিশ ফাঁড়ি না বলে থানায় গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে চেয়ার ছুড়ে মারতে উদ্ধত হয় যা পুরোটাই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, আমি পুলিশ ফাঁড়িতে প্রবেশ থেকে বেরিয়ে আসা পর্যন্ত কি কথাবার্তা সেখানে হয়েছে তা যারা এই ভিডিওটি করেছেন তা পুরোটা দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবে আমার কনস্টেবল সাদিকুলের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলার কারন সমুহগুলো। এ ছাড়াও প্রচার হওয়া ভিডিওতে পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাকে চেয়ার ছুরে মারতে যাওয়ার কথা সাংবাদিক সাহেব উল্লেখ করেছেন সেটিরও কোন ভিডিও তিনি প্রচার করেননি। এমন কোন ভিডিও থাকলেতো প্রচার করবেন? পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমার সামনে তার চেয়ারে বসে ছিলেন এবং ফাঁড়ির ইনচার্জের সাথে আমার এমন কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি। সর্বশেষে তিনি তার বিরুদ্ধে এমন মনগড়া সংবাদ প্রচার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান। এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করে তা সুপার এডিটের মাধ্যমে ভিডিও কাট/ছাট করে সাংবাদিকদের ছড়িয়ে দেয়া ব্যাক্তিকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিসহ এমন সংবাদ প্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

এদিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হওয়া ভিডিওটি পর্যালচনা করে দেখা যায়, কনস্টেবল সাদিকুলকে উচ্চস্বরে কথা বলে তেরে যাওয়ার ভিডিওটি এডিট করে সকলের দৃষ্টি আকের্ষনের বস্তুতে পরিনত করতে সংবাদের প্রথমে প্রচার করা হয়েছে। এবং পুলিশ কনস্টেবল সাদিকুল ইসলামকে ভদ্রলোক বলে সন্মানের সাথে ডাকতে বলার কথাটি শেষে ছাড়াও শুধুমাত্র আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে বিতর্কে ফেলতে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টিটুর উচ্চস্বরে কথা বলে তেরে যাওয়ার ভিডিওটি বার বার প্রচার করেছে। তবে ভিডিওটি গোপনে রেকর্ড করে সুপার এডিট কোন সংবাদকর্মীরা করেছেন কি না তা জানা না গেলেও উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির মুন্সি সবুজ যাহান ভিডিওটি করেছেন বলে ভিডিও ধারনের কলা কৌশল ও উক্ত ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে নিশ্চিৎ হওয়া গেছে।

উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল সাদেকুলকে একাধিকবার ফোনে ও সাক্ষাৎ করে সেদিন কি ঘটনা ঘটেছিলো জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভিডিওটি কে করেছে তা আমার জানা নেই। সেদিন ফাঁড়িতে কি ঘটনা ঘটেছিলো ও ভিডিওটি আপনার পুলিশ ফাড়িঁর মুন্সি সবুজ জাহান করেছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। সংবাদে প্রচার হয়েছে যে আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু আপনাকে চেয়ার নিয়ে ফাঁড়ির ভেতেরেই মারতে তেরে গেছেন ষিয়টি কি সত্য? এমন প্রশ্নে আরিফ মাহমুদ কৌশলে বলেন, ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তার বাইরে কিছু হয়নি। আর এ বিষয়ে আরএমপি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।