একাধিক মেয়ের সাথে রয়েছে এই সচিবের অনৈতিক কর্মকান্ড

অতীত ও বর্তমান কর্মকান্ডে বিতর্কে ভরা রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সচিব হুমায়ুন কবীর

প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২৪

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ুন কবীর জুয়েলকে নিয়ে বার বার অস্বস্তিতে পড়েছেন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এছাড়াও অবৈধভাবে বিভিন্ন স্কুল কলেজ পরিদর্শন করা নিয়েও শিক্ষা বোর্ডে বিতর্কে পরেন তিনি। এছাড়াও অবৈধভাবে বিভিন্ন স্কুল কলেজ পরিদর্শন করা নিয়েও শিক্ষা বোর্ডে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। এখন সচিবের অতীত ও বর্তমান কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা চলছে শিক্ষাবোর্ড চত্বরে। শোনা যাচ্ছে একাধিক মেয়ের সাথে রয়েছে এই সচিবের অনৈতিক কর্মকান্ড। এমনকি স্বামীর সংসারও ছাড়তে হয়েছে অনেক মেয়েকে। এমনই এক নারীর সাথে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথাকোপনের প্রমানাদী এসেছে সাংবাদিকদের হাতে। সেই নারীর নাম নিগার ফারজানা। তিনি জিএম হাফিজ মাহমুদের স্ত্রী।

জানা গেছে, ক্যান পাবলিক থেকে সিটি কলেজ ও পরবর্তীতে সিটি কলেজ থেকে ডির্গী কলেজে মেয়ের ট্রান্সফারের জন্য জিএম হাফিজ মাহমুদের স্ত্রী নিগার ফারজানা রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ুন কবীর জুয়েলের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সচিব হুমায়ুন কবীর জুয়েল তার বিধি বহির্ভূতভাবে প্রথমে সিটি কলেজ ও পরে নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রী কলেজে ট্রান্সফার করেদেয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল নম্বরে ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিগার ফারজানার সাথে বিভিন্ন আলাপচারিতা করতে থাকে। এক পর্যায়ে নিগার ফারজানা ও সচিব হুমায়ুন কবীর জুয়েল দুজনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে গত ১৬ই জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে নিগার ফারজানা তার স্বামী জিএম হাফিজ মাহমুদকে তালাক দেন। জিএম হাফিজ মাহমুদ ১৯জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে তার স্ত্রীকে আনতে তার কাদিরগঞ্জ শশুরবাড়ি গেলে স্ত্রী নিগার ফারজানা তাকে তালাক দিয়েছে বলে তার সাথে যাবেনা বলে ফিরিয়ে দেয়। শুধু এই সচিব হুমায়ুন কবীর জুয়েলর কারনে এখানেই থেমে যায় নিগার ফারজানা ও জিএম হাফিজ মাহমুদের সংসার জীবন।

এদিকে সচিবের অতীত কর্মকান্ড নিয়ে তথ্য সংগ্রহকালে বেড়িয়ে আসে থলের বেড়াল। এই সচিব কয়েক বছর আগে রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক থাকাকালে পরকীয়ার কারণে স্ত্রীকে নির্যাতন করেন হুমায়ুন কবীর জুয়েল। স্ত্রীর করা মামলায় দীর্ঘ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। এ কারণে সেসময় তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। পরে স্ত্রীর সঙ্গে আপস করে মামলা থেকে নিষ্কৃতি পান। ফিরে পান চাকরি। শাস্তিমূলকভাবে রাজশাহী থেকে তাকে বদলি করা হয়েছিল ফেনীর সোনাগাজী সরকারি কলেজে। ২০২২ সালের ৪জানুয়ারি হুমায়ুন কবীর জুয়েলকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হিসাবে নিয়োগ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারীরা জানান,প্রতিনিয়ত তার কক্ষে মেয়ে মানুসের অনাগোনা লেগে থাকতো। অনেক সময় তাদের সাথে নিয়েই বেরিয়ে পরতেন অফিস থেকে। যা আমাদের সকলেই জানে।

নিগার ফারজানার সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এসকল অভিযোগ বিষযে মোবাইলে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ুন কবীর জুয়েল বলেন, তিনি ঢাকায় আছেন ।আর কোন মেয়ে মানুষের সাথে তার মোবাইল নম্বরে ও হোয়াটসঅ্যাপের এমন কোন কথা হয়নি। আমাকে বদনাম করতে শিক্ষা বোর্ডের কতিপয় ব্যাক্তিরা এমন মিথ্যা ঘটনা রটাচ্ছে বলে জানান তিনি।

সচিব হুমায়ুন কবীর জুয়েলের এমন কান্ডহীন কর্ম কান্সড সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক অলীউল আলম সচিবের বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।