সহিংসতা থামাতে আহ্বান

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২১

 

মিয়ানমারে সেনাশাসনবিরোধী চলমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ওপর সহিংসতা বন্ধে জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সংগঠন। একই সঙ্গে জান্তার বিরুদ্ধে নিরীহ বেসামরিক লোকজনের ওপর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।

গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর জান্তার রক্তক্ষয়ী অভিযান নিয়ে এক বিবৃতিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানাল সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত সংগঠনটি। এই খসড়া বিবৃতিতে জান্তার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সংগঠনটি তার সদস্যদের কাজ বন্ধ রাখারও আহ্বান জানিয়েছে।

দ্য স্টেট সংঘ মহানায়ক কমিটি (মাহানা) নামের এ সংগঠন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে চূড়ান্ত বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এমন একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর বরাত দিয়ে নিউজ পোর্টাল মিয়ানমার নাউ এ খবর জানিয়েছে।

মিয়ানমারের রাজনীতিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ভূমিকা দীর্ঘদিনের। ২০০৭ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশটিতে যে জাফরন বিপ্লব সংঘটিত হয়, তার সম্মুখসারিতে ছিলেন এ ভিক্ষুরা। যদিও ওই বিপ্লবকে কঠোর হাতে দমন করা হয়েছিল, তবু দেশটিতে গণতান্ত্রিক সংস্কার আনতে তা সহায়তা করেছিল।
বিজ্ঞাপন

ওই বিবৃতির বিষয়ে মন্তব্য জানতে মাহানার সদস্যদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে রয়টার্স। তবে তাদের মন্তব্য জানতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি। কিন্তু তাদের ওই বিবৃতি সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফাটলের ইঙ্গিত দেয়। সাধারণত সংগঠনটি ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটায় দেশটির সেনাবাহিনী। পাশাপাশি দেশটির নেত্রী অং সান সু চি ও তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে তারা।

এ ঘটনায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমালোচনার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক বিক্ষোভের সম্মুখীন হচ্ছে জান্তা সরকার। সহিংস পন্থায় বিক্ষোভ দমনে জান্তার পদক্ষেপে ইতিমধ্যে ১৮০ জনের মতো বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। সবশেষ গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।